৫ জুন ২০২১ তারিখ বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ স্থপতি ইন্স্টিটিউট “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও স্থপতি” শীর্ষক একটি ওয়েবিনার এর আয়োজন করে।
উক্ত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব মো: তাজুল ইসলাম, এমপি। আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। "টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ও স্থপতি" বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তথ্যবহুল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্থপতি ও নগরবিদ জনাব ইকবাল হাবিব। পুরো ওয়েবিনারটি পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ স্থপতি ইন্স্টিটিউট এর সাধারণ সম্পাদক স্থপতি ফারহানা শারমীন ইমু।
মূল প্রবন্ধে স্থপতি ও নগরবিদ ইকবাল হাবিব বাংলাদেশের স্থপতিদের পরিবেশ বান্ধব নানারকম স্থাপত্য চর্চা ও এসডিজির সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়ে আলোকপাত করেন। বাংলাদেশের স্থপতিগণ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যে সকল কাজে সংশ্লিষ্ট আছেন তার উপর তিনি বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেন। মূল প্রবন্ধে তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের স্থপতিগণ পরিবেশ বান্ধব স্থাপনা নির্মাণে বরাবরই অগ্রনী ভূমিকা পালন করে আসার পাশাপাশি দেশে ও বিদেশে পরিবেশের উন্নয়ন ও পরিবেশ সম্মত ভবন নির্মাণে পুরস্কৃত হচ্ছেন এবং জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছেন।
অনুষ্ঠানের আলোচক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্থপতিদের এই আলোচনার প্রশংসা করেন। তিনি শহরের উন্নয়নে রাজউকসহ অন্যান্য নীতিনির্ধারণী সংস্থা যেন আইনের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে সে বিষয়ের উপর জোর দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় মন্ত্রী জনাব মো: তাজুল ইসলাম, এমপি প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে তাঁর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তা থেকে উত্তরণে ড্যাপ, বিধিমালাসহ সকল আইনের সফল বাস্তবায়নে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের ভূমিকার বিষয়ে আলোকপাত ও এই সমস্যা থেকে উত্তরণে স্থপতিদের সহায়তা প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহ সম্পন্ন হলে দেশে আরও উন্নয়ন সাধিত হবে। তিনি সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে স্থপতিদেরকে তার মন্ত্রণালয়ের পাশে থাকার আহবান জানান। সরকারের ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রকল্পের সফলতায় স্থপতিদের সহায়তা কামনা করে এই প্রকল্পের আওতায় গ্রামের পরিবেশ বজায় রেখে শহরের সুবিধা প্রাপ্তির উপর জোর দেন।
সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশ স্থপতি ইন্স্টিটিউটের সহ-সভাপতি (আর্ন্তজাতিক বিষয়াদি) স্থপতি ইসতিয়াক জহির তিতাস সবাইকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় স্থপতিদের নিয়োগের বিষয়ে মাননীয় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।