গতকাল ২৬ নভেম্বর ২০২১, স্থপতি-কবি রবিউল হুসাইনের দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবসে, বাংলাদেশ স্থপতি ইন্স্টিটিউট কার্যালয়ের সামনের মাঠটি "রবিউল হুসাইন প্রাঙ্গন" হিসাবে নামকরণ এবং কিছু স্মৃতিকথনের মাধ্যমে তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।
আইএবি সেন্টারের উন্মুক্ত সুশ্যামল পরিসরের সাথে প্রয়াত স্থপতি কবি রবিউল হুসাইন কে যুক্ত করবার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ স্থপতি ইন্স্টিটিউট-এর ২৪ তম নির্বাহী পরিষদের এই সংবেদনশীল প্রয়াস
বাংলাদেশ স্থপতি ইন্স্টিটিউট এর জন্মলগ্ন থেকে তিনি এই সংগঠনের কার্যক্রমের সাথে জড়িত থেকেছেন নিরলস আর নিঃস্বার্থ ভাবে।
বিগত পাঁচ দশকে রবিউল হুসাইন-এর ধারাবাহিক, বলিষ্ঠ ও সৃজনশীল নেতৃত্ব এই সংগঠনকে শক্তিশালী ও বেগবান করেছে।
চারবার নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ স্থপতি ইন্স্টিটিউট-কে তিনি সাফল্যের সাথে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে স্বকীয় স্থাপত্যরীতি প্রতিষ্ঠা ও সৎ পেশাচর্চার সংগ্রামে রবিউল হুসাইন-এর কালজয়ী স্থাপত্যকর্ম, গবেষণা প্রসূত সুনিপুণ রচনাসমূহ স্থাপত্য শিক্ষা ও চর্চার অঙ্গনে বিশেষ মাইলফলক হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত।
বাংলা কথাসাহিত্য ও কাব্যাঙ্গনে রবিউল হুসাইন নিজ মেধা ও গুনে চিরভাস্বর । ২৫টি গ্রন্থ ও অসংখ্য মৌলিক স্থাপত্য কর্মের প্রণেতা রবিউল হুসাইন ২০০৯ সালে বাংলা একাডেমী পুরষ্কার, ২০১৬ সালে আইএবি স্বর্ণ পদক ও ২০১৮ সালে একুশে পদক সহ বিভিন্ন সন্মাননা ও পদকে ভূষিত হয়েছেন।
যে কোন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্থাপত্য বিষয়ক ইতিবাচক আন্দোলনে রবিউল হুসাইন সর্বদাই অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন, অনুপ্রেরনা দিয়েছেন নিরলস ভাবে।
মানুষের কল্যাণে, সমাজের উন্নয়নে, সুস্থ সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায় এবং স্থাপত্য-সংস্কৃতি ও পেশা চর্চার সামগ্রিক বিকাশ ও ব্যুৎপত্তি সাধনে তিনি তাঁর সুদীর্ঘ কর্মময় জীবনকে নিবেদিত করেছেন।
প্রভুত সততা, কর্মস্পৃহা, উদ্যম ও সৃজনশীলতার মানদন্ডে সমসাময়িক যে কারো চাইতে স্থপতি-কবি রবিউল হুসাইন ভিন্নতর মাত্রার আসনে আসীন।
এই ক্ষণজন্মা মহতি ব্যাক্তির প্রতি বাংলাদেশের স্থপতি সমাজের ঋণ অপরিসীম।