‘সুবর্ণ আসরঃ সবারে করি আহ্বান’ শীর্ষক বাস্থই সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানটির দ্বিতীয় পর্ব আনন্দঘনভাবে অনুষ্ঠিত হলো গত ২ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার, বাস্থই প্রাংগনে।
অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে সম্প্রতি UIA 2030 পুরস্কারে ভূষিত তিনটি বাংলাদেশী স্থাপনা ও নগর উন্নয়ন প্রকল্পের মনোমুগ্ধকর উপস্থাপনা এবং শেষ অংশে ‘লালন ব্যান্ডের’ জমজমাট সঙ্গীত পরিবেশনা অনুষ্ঠানটির মূল আকর্ষন ছিল।
প্রধান অতিথি, ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পরেশনের মেয়র, জনাব ফজলে নূর তাপস আগ্রহ নিয়ে ‘Co-creation of urban Spaces the Noboganga River, Green Field Factory of Karupanya Rangpur Ltd. এবং Revitalization of Rasulbagh Children’s Park, এই প্রকল্প তিনটির উপস্থাপনা উপভোগ করেন এবং তাঁর বক্তব্যে পুরষ্কার-প্রাপ্ত প্রকল্পের মধ্যে দুটিই সিটি কর্পোরেসনের প্রকল্প হওয়ার কথা উল্লেখ করে সন্তোষ ব্যক্ত করেন। তিনি উপস্থাপনাকারী স্থপতিবৃন্দ, যথাক্রমে, Co-creation Architects এর কর্ণধার খন্দকার হাসিবুল কবির, Nakshabid Architects এর কর্ণধার বায়েজিদ মাহবুব খন্দকার ও Satotto -এর প্রধান স্থপতি রফিক আজমকে অভিনন্দন জানান ও ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে সুবর্ণজয়ন্তী সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন। এরপর, বাস্থইএর পক্ষ থেকে মেয়র মহোদয়কেও সুবর্ণজয়ন্তী স্মারক উপহার দেয়া হয়।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে, সুবর্ণজয়ন্তী আয়োজক পর্ষদের আহবায়ক, স্থপতি কাজী মোঃ আরিফ তাঁর স্বাগত বক্তব্যে প্রথমবারের মতো বাস্থই প্রাংগনে মেয়র মহোদয়কে স্বাগত জানান। বাস্থই সভাপতি, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে নগরপিতার ভূমিকায় মেয়রের কর্ম-অভিযানে স্থপতি পেশাজীবি ও বাস্থই-এর অবদান রাখার প্রয়োজনীয়তা এবং সুযোগ উল্লেখ করে এব্যাপারে পূর্ণ সহযোগিতার কথা ব্যক্ত করেন।
জনাব ফজলে নূর তাপস, তাঁর দীর্ঘ সুচিন্তিত বক্তব্যে ঢাকা শহরের প্রেক্ষাপটে নাগরিক সুবিধা ও অবকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় স্থপতিদের ও বাস্থই এর অবদানের গুরুত্ব উল্লেখ করেন।
প্রথম অংশের শেষে, বাস্থই সম্পাদক, স্থপতি ফারহানা শারমীন ইমু, অনুষ্ঠানের আয়োজনের নেপথ্যে থাকা বাস্থই সদস্যবৃন্দ, পৃষ্ঠপোষকবৃন্দ, অতিথিবৃন্দ এবং প্রধান অতিথিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সকলকে পরবর্তী সঙ্গীতানুষ্ঠান ও রাতের খাবার উপভোগের আমন্ত্রণ জানান।
আইএবি সেন্টারের উন্মুক্ত সবুজ প্রাংগনে রাতের ভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।