সম্প্রতি (১৩ মার্চ, ২০২৩) রাজধানীর একটি হোটেলে বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন আর্কিটেকচার এর ১০ম সংস্করণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার অভিনবত্ব ও অসামান্য উৎকর্ষের স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচটি স্থাপত্য প্রকল্প পুরস্কৃত হয়।
রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন গ্র্যান্ড বল রুমে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের (বিপিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী, ইন্সটিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ (বাস্থই) এর সভাপতি স্থপতি প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ, বিপিবিএল এর চিফ সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং অফিসার মহসিন হাবিব চৌধুরী এবং বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন আর্কিটেকচার এর ১০ম সংস্করণের অ্যাওয়ার্ড ডিরেক্টর স্থপতি কাজী এম আরিফ সহ বার্জারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, অ্যাওয়ার্ড কমিটির সদস্য, জুরি সদস্য, বিশিষ্ট স্থপতি ও দেশের নির্মাণ খাতের সাথে জড়িত অন্যান্য পেশাজীবীরা।
২০০৩ সালে প্রথম ‘বার্জার ইয়াং আর্কিটেক্ট’ অ্যাওয়ার্ড হিসেবে এ পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। পরে দক্ষ ও উদীয়মান স্থপতিদের জন্য বিস্তৃত সুযোগ তৈরি করতে পুরস্কারের পরিসর বাড়িয়ে এর নামকরণ করা হয় “বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন আর্কিটেকচার (বিএইএ)”। পুরস্কারের এবারের সংস্করণের মধ্য দিয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারের ২০ বছরের যাত্রা উদযাপন করে বার্জার। পুরস্কারটি আরও বিশেষায়িত করে তুলতে ‘ওপেন ক্যাটাগরি’ এর আওতায় নতুন সম্ভাবনা তৈরিতে প্রকল্পগুলোকে একযোগে আমন্ত্রণ জানায় বার্জার ও আইএবি।
বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন আর্কিটেকচার ২০২২ এর ১০ আবর্তনে অ্যাওয়ার্ড ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্থপতি কাজী এম আরিফ। ডেপুটি অ্যাওয়ার্ড ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাস্থই সহ-সম্পাদক স্থপতি ড. মাসুদ উর রশিদ ও স্থপতি মৌসুমী আহমেদ। জুরি প্যানেলের সদস্যরা হলেন: স্থপতি নওশাদ এহসানুল হক, স্থপতি নিশাত আফরোজ, স্থপতি এস নাজিম উদ্দিন, থাইল্যান্ডের স্থপতি দুয়ানপ্রিত বুন্নাগ ও বিখ্যাত ভাস্কর প্রফেসর হামিদুজ্জামান খান। বিএইএ পুরস্কারের স্থায়ী ট্রাফিটির ডিজাইন করেছেন প্রফেসর হামিদুজ্জামান খান।
বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত পাঁচটি প্রকল্পকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রাপ্তরা হচ্ছেন:
WINNER:
1. "NEER" A VACATION HOUSE _Ar. Zishan Fuad Choudhury
2. " BON ER BARI" (A FOREST RETREAT) _Ar. Md. Ishtiaque Zahir, Ar. Md. Iqbal Habib.
3. RANGS BABYLONIA_ Ar. K M Mustapha Khalid
COMMENDATION:
1. The Statesman _ Ar. Shahla Karim Kabir, Ar. Shuvro S Chowdhury.
2. Hydropod Integrated water harvesting & Playscape facilities in Hill Tracts_Ar. S M Rumman Mashrur Chowdhury, Ar. Shuvra Das.
একই সময়, বার্জার লাইফ-টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে প্রয়াত স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনকে স্থাপত্য ক্ষেত্রে উৎসর্গ ও অবদানের আজীবন স্বীকৃতি হিসেবে মরনোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয। বিখ্যাত স্থপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অ্যাক্টিভিস্ট স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন তার অসামান্য কাজের মাধ্যমে দেশের সীমানা ছড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও খ্যাতি অর্জন করেন।
এ বিষয়ে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের (বিপিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী বলেন, “এ বছরের বার্জার পুরস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা ২০ বছরের যাত্রা উদযাপন করছি। বার্জার অনেক বছর ধরেই দক্ষ ও উদীয়মান স্থপতিদের অবদান ও প্রচেষ্টার স্বীকৃতিদানে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে ও বার্জার এই পুরস্কারের মাধ্যমে উৎকর্ষের স্বীকৃতি দিতে নিরলস কাজ করে যাবে।”
ইনস্টিটিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (বাস্থই) সভাপতি স্থপতি প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ বলেন, “বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন আর্কিটেকচার একমাত্র পুরস্কার যা স্থপতি ও এ খাতের সাথে জড়িত বাকিদের উৎসাহ দিতে প্রদান করা হচ্ছে। গত ২০ বছর ধরে এই খাতের সম্ভাবনাময় মেধা, ভালো ও অসামান্য কাজে উৎসাহ জুগিয়ে যাচ্ছে এ পুরস্কার যা ইতোমেধ্য মাইলফলকে পরিনত হয়েছে।”
উল্লেখ্য, স্থাপত্য খাতে অসামান্য কাজের স্বীকৃতি দিতে ইন্সটিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (বাস্থই) সহযোগিতায় বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন আর্কিটেকচার (বিএইএ) প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশের স্থাপত্য পেশায় এটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে স্বীকৃত। এই পুরস্কার দেশের স্থপতিদের সম্ভাবনার পরিসরকে সমৃদ্ধ করছে এবং তাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করছে।