২৯ মার্চ ২০২৩ “আগুন বা ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে হাসপাতাল” শীর্ষক ইন্টারেক্টিভ সেশনে অংশ নেন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (বাস্থই) সভাপতি স্থপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ এবং মেজর (অব.) একেএম শাকিল নেওয়াজ, এমবিএ, এমএসডিএম, সিসিএম ।
ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা-র একটি প্রতিনিধি দল ২৭ মার্চ ঢাকা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্ৰদৰ্শন করেন । এইসময় কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সাপ্লাই স্টেশন, ক্যান্টিন ও পার্কিং ভবন সহ পুরাতন ভবন গুলোতে কাঠামোগত ত্রুটির পাশা পাশি অগ্নি নিরাপত্তা ঝুঁকি পরিলক্ষিত হয় ।
এই বিষয়ে স্থপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ আবারও সমন্বিত ব্যবস্থাপনার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, কাঠামোগত ত্রুটি অগ্নি নিরাপত্তা ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়, আমরা যেকোনো ধরণের ভবনকে রেট্রোফিট বা সংস্কার করতে পারি, দরকার সদিচ্ছা ও সঠিক ব্যবস্থাপনা ।
মেগা সিটি হওয়ায় আমাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অবশ্যই বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট/ ফ্যাসিলিটি ম্যানেজমেন্ট অথরিটি থাকতে হবে, যাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট ও রেগুলেশন।
একটি ক্রমশ বিবর্তিত শহর হিসাবে, প্রায়ই আমরা বিল্ডিং ব্যবহার পরিবর্তন করছি; বাজারের চাহিদার কারণে একটি আবাসিক/হোটেল ভবন হাসপাতালে রূপান্তরিত হচ্ছে । এটা অসম্ভব নয়, কিন্তু প্রয়োজন একটি “ক্লোস লুপ”, এবং একটি দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ, যাদের কাজ শুধু চিঠি ইস্যু করা বা মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা নয় । তাদের একটি চেকলিস্ট থাকবে, প্রয়োজন রুটিন ফলো আপ । যদি কোনো ব্যাত্যয় খুঁজে পায়, তারা নিশ্চিত করবে যে এটি সংস্কার হয়েছে, প্রয়োজনে প্যানালাইজড করা হবে ।
তিনি বলেন, প্রথমে উচিত আমাদের স্থাপত্য দৃষ্টিকোণ থেকে একটি অডিট পরিচালনা করা, খুঁজে বের করা এই বিল্ডিং এর সীমাবদ্ধতা কি?
মেজর (অব.) একেএম শাকিল নেওয়াজ, স্থপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ’র সাথে একমত প্রকাশ করেন । উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেন, হাসপাতালের অনুমোদন দেওয়ার আগে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের সমস্ত অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারে । তিনি আরও বলেন, বর্তমানে অগ্নি নিরাপত্তা আইনে কিছু “গ্রে এরিয়া” রয়েছে, প্রয়োজনে আইন সংশোধন করতে হবে, যাতে কেউ এর অপব্যবহার করতে না পারে ।