গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ স্থপতি ইন্স্টিটিউট (বাস্থই) সভাপতি স্থপতি প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ এর নেতৃত্বে বাস্থইর একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংক এর ডেপুটি গভর্নর জনাব কাজী ছাইদুর রহমান এর সাথে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাত করেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা ছিলেন স্থপতি মুহাম্মাদ আলী নকী, সহ-সভাপতি (জাতীয় বিষয়াদি) ও স্থপতি নবী নেওয়াজ খান, সাধারণ সম্পাদক, বাস্থই। সাক্ষাতে বাস্থই সভাপতি ডেপুটি গভর্নরের কাছে বাস্থইর কর্মপরিধি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। সরকারের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণীতে বাস্থইর ভূমিকার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক এর বিভিন্ন প্রজেক্ট বিশেষ করে “গ্রীন এন্ড সাসটেইনেবল প্রজেক্ট”এ স্থপতিরা কিভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন সে বিষয়ে সভায় মতবিনিময় করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক এর “গ্রীন এন্ড এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড ডোনার ফান্ডেড প্রজেক্ট” এও স্থপতিগণের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার ব্যাপারে আলোচনা করা হয়।
এছাড়া আলোচনায় শিক্ষানবিশ স্থপতিদের স্যালারিতে ট্যাক্স রিবেট এবং শিক্ষানবিশ স্থপতিদের বেতন দেয়ার জন্য নিয়োগদাতা স্থাপত্য প্রতিষ্ঠানকেও ট্যাক্স রিবেটের আওতায় আনা যায় কিনা সে বিষয়ে মত বিনিময় করা হয়, ডেপুটি গভর্নর মহোদয় বিষয়টিকে গুরুত্ত্বের সাথে গ্রহণ করেন।
আলোচনাতে “এনার্জি এফিসিয়েন্ট বিল্ডিং” এর “কার্বন ফুট প্রিন্ট” কমাতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে বাস্থইর ভূমিকা রাখার বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসন, রিয়েল এস্টেট সেক্টরের বিল্ডিং-এসেটকে বন্ডে রুপান্তর করার প্রস্তাবনা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশী স্থপতিদের বাস্থইর বার্ষিক চাঁদা দেশে আনার জন্য ফরেন কারেন্সি একাউন্ট এর ব্যাপারে আলোচনা করা হলে ডেপুটি গভর্নর মহোদয়, বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্তের সাথে গ্রহণ করেন। তিনি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
আলোচনার এক পর্যায়ে বাস্থইর বিভিন্ন ডিজাইন কম্পিটিশন এর বিষয়ে ডেপুটি গভর্নরকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হলে তিনি আগামীতে বাংলাদেশ ব্যাংক এর যেসব ভবন নির্মান করা হবে সেগুলোকে বাস্থইর ডিজাইন কম্পিটিশন এর আওতায় আনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক এর যে সকল পুরোনো স্থাপনা রয়েছে যেগুলো সংরক্ষণের বিষয়েও তিনি বাস্থইর সহায়তা কামনা করেন।
সবশেষে, বাস্থইর সাথে বাংলাদেশ ব্যাংক এর নিয়মিত যোগাযোগ থাকা প্রয়োজন বলে ডেপুটি গভর্নর মনে করেন। এক্ষেত্রে বাস্থইর সাথে বাংলাদেশ ব্যাংক যে সকল খাতে একত্রে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনের আলোকে, পরবর্তীতে MoU স্বাক্ষর করার বিষয়ে সভায় ঐক্যমত প্রকাশ করা হয়।