ঢাকা শহরে প্রায় ৯০% রাস্তার প্রস্থ ২০ ফুটের কম,৯৫% পরিবারেরই বেক্তিগত গাড়ির মালিকানা নেই অথচ রাজউকের আইন অনুযায়ী গাড়ি পারকিং এর সুবিধা রেখেই বাড়ি তৈরির অনুমোদন নিতে হচ্ছে যেখানে ৮৪% উপর স্থাপনা একতলা, ৭৬% উপর স্থাপনা কাঁচা অথবা আধাপাকা অর্থাৎ এক চতুর্থাংশের কম স্থাপনা পাকা। ২০০৬ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা শহরে যেসব বাড়ি তৈরি হয়েছে তার ৯৫% এর আবেদন রাজউকের কাছে জমা পরেনি, কারণ তাদের পক্ষে রাজউকের এই উচ্চমান পূরণ করা সম্ভব হয়নি। অর্থাৎ ঐ সময়ে তৈরি হওয়া ৯৫% বাড়িই অবৈধ।এখানে সমস্ত আইন তৈরি হচ্ছে ৫% মানুষের কথা চিন্তা করে। অথচ প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ, সিংহভাগ মানুষকে বাদদিয়ে যে আইন তৈরি হচ্ছে সেই আইনের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বক্তা।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের সক্ষমতার বিচারেই প্রথাগতভাবে শহরের সাফল্য বিবেচনা করা হয়। সেই বিবেচনায় ঢাকা একটি অত্যন্ত সফল শহর, মোট জিডিপির এক তৃতীয়াংশ আসে এই শহর থেকে যার আয়াতন কিনা দেশের মোট ভূমির ১% মাত্র। কিন্তু ঢাকা কি সত্যিই একটি মানবিক শহর?এই শহরের উচ্চ দশমাংশের গড় আয় নিম্ন দশমাংশের গড় আয়ের ৩২ গুণ। ১৯৭০ সালের আগে ঢাকায় ৬৫টি খাল ছিল এখন আছে ২৬টি, ১৯৭৮ থেকে ২০০৯ এর মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় জলাধারের পরিমান ২৯বর্গ কিমি থেকে ১০.২৮বর্গ কিমিতে নেমেছে, নগরের সর্বমোট উন্মুক্ত এলাকার আয়তন এলাকার ১% এরও কম। স্বাধীনতার৪৮ বছর পরেও সরকারী পর্যায়ে ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাড়েনি। বিদেশী সংস্থার সুপারিশে শহরময় বপন করা হয়েছে বিদেশী গাছ, অথচ দেশী জাতের ফলের গাছ বপনকরে শতকোটি টাকার ফল উৎপাদন করে তা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিলিয়ে দেয়া যেত। আমাদের প্রয়োজন এখন মানসিকতা পরিবর্তনের। পরিবর্তিত মানসিকতা এবং ন্যায় বিচার ভিত্তিক পরিকল্পনাই পারে একটি বাসযোগ্য মানবিক শহর গঠন করতে।
হলভর্তি স্রোতাদের কাছে বক্তার উপস্থাপনা ছিল অত্যন্ত উপভোগ্য এবং দৃষ্টি-প্রসারী একটি ঘটনা।
Affiliations
Mailing Address
Contact